লয় বা লাইট অব ইয়াসরব কী?

Image
আস্সালামু আলাইকুম, Light of Yasrab , যাকে সংক্ষেপে বলা হয় LoY , একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম। লয় সবসময় অসহায় ও দরিদ্র মানুষের জন্য কাজ করে। এছাড়া লয়ের আছে অনলাইন ব্লাড ব্যাংক যার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত স্বেচ্ছায় রক্তদান করছেন লাইট অব ইয়াসরব-লয়ের ভাইয়েরা। তাছাড়া রয়েছে লয়ের নিজস্ব ট্যুর গ্রুপ এবং  ইন-শা-আল্লাহ দ্রুতই চালু হচ্ছে    লয় এডুকেশন সেন্টার । LoY-এর মূল স্লোগান: “পীড়িতকে সাহায্য করি, দরিদ্রকে আশ্রয় দিই, অসহায়কে সহায়তা করি।” এখন পর্যন্ত লয় যেসব মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সেগুলো সংক্ষেপে আপনাদের সামনে তোলে ধরা হলো- ভিন্নধর্মী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। লয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে অসাধারণ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির। এই কর্মসূচির সবচেয়ে চমৎকার দিক হলো এখানে লয় পরিবারের সদস্যরা নিজেরাই চারগুলো রোপণে শ্রম দিয়েছেন। আমরা মসজিদ, কবরস্থানসহ বেশকিছু স্থানে বিভিন্ন জাতের চারা নিজেরা রোপণ করেছি। ইয়াতিমখানায় স্পেশাল খাবারের আয়োজন। লয়ের পক্ষ থেকে ইয়াতিম, অসহায় শিশুদের জন্য ভালো খাবারের আয়োজন করা হয়। লয় দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রজ...

জুম'আর পর চলে গেলেন মসজিদে নববীর সেই শতবর্সী কোরআনপ্রেমী

সুদূর ইমাম বোখারির (রহঃ) দেশ থেকে তিনি এসেছিলেন সবুজ গম্বুজের টানে। প্রিয় নবীজির ভালোবাসায়, মসজিদে নববীর খেদমতে এবং রওজায়ে আতহারের সান্নিধ্যে ছিলেন তিনি। সেই যে পুণ্যভূমিতে এসেছিলেন আর ফিরে যাননি। ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি মদিনার মানুষ ও প্রিয় নবীজির (সঃ) প্রতিবেশী।

তিনি হলেন সায়্যিদ মহিউদ্দিন (রহঃ)। গত শুক্রবার জুম'আর সময় ইন্তেকাল করেন তিনি। সৌদি মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্বব্যাপী তার মৃত্যু সংবাদ বহুল প্রচারিত হয়েছে।

এর পর থেকে বহু মানুষ তার মাগফিরাতের দোয়া করেছেন। মিডিয়ার দেওয়া তথ্যানুযায়ী, মহিউদ্দিন হাফিজুল্লাহর জানাজা শনিবার ফজরের পর মসজিদে নববীতেই অনুষ্ঠিত হয়।

আল জাজিরা জানিয়েছে, মদিনা-মুনাওয়ারায় উম্মুল মুমেনিনসহ অসংখ্য সাহাবি তাবিয়ির সমাধিস্থান জান্নাতুল বাকিতে তাকে সমাহিত করা হয়েছে।

সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল এই মানুষটি সবসময় কোরআন তিলাওয়াতে রত থাকতেন। আল্লাহর জিকিরে জিহ্বা সিক্ত থাকত। ৫০ বছর ধরে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে নববীতেই আদায় করতেন। স্ত্রী-সন্তান ছিল না। একাকী একটি ঘরে থাকতেন।

মদিনাবাসীর ভাষ্যমতে, তিনি ছিলেন সত্যিকারের দুনিয়াত্যাগী, ইবাদতগুজার, আল্লাহর ওলি। মৃত্যুর সময় মহিউদ্দিন হাফিজুল্লাহর বয়স হয়েছিল অন্যূন ১০৭ বছর।

জানা যায়, শায়খ মহিউদ্দিন ছিলেন মদিনা নগরীর প্রবীণদের অন্যতম। ইসলামে দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর বিন খাত্তাবের (রাঃ) বংশধর। ইসলামের বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ও আলেম মহিউদ্দিন ইবনে আরাবি (রহঃ) ছিলেন তার পূর্বপুরুষ।


ছবি: সংগৃহীত 

Comments

Popular posts from this blog

সংস্কার নয়, প্রয়োজন নতুন সংবিধান প্রণয়ন: জনকল্যাণ, সুশাসন ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে একটি নতুন শুরু

ভারতে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়ের কীর্তি দেখে হার্টঅ্যাটাক মা-বাবার

লাইলাতুল বারাআত প্রসঙ্গে