Posts

Showing posts with the label ইসলাম

লয় বা লাইট অব ইয়াসরব কী?

Image
আস্সালামু আলাইকুম, Light of Yasrab , যাকে সংক্ষেপে বলা হয় LoY , একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম। লয় সবসময় অসহায় ও দরিদ্র মানুষের জন্য কাজ করে। এছাড়া লয়ের আছে অনলাইন ব্লাড ব্যাংক যার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত স্বেচ্ছায় রক্তদান করছেন লাইট অব ইয়াসরব-লয়ের ভাইয়েরা। তাছাড়া রয়েছে লয়ের নিজস্ব ট্যুর গ্রুপ এবং  ইন-শা-আল্লাহ দ্রুতই চালু হচ্ছে    লয় এডুকেশন সেন্টার । LoY-এর মূল স্লোগান: “পীড়িতকে সাহায্য করি, দরিদ্রকে আশ্রয় দিই, অসহায়কে সহায়তা করি।” এখন পর্যন্ত লয় যেসব মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সেগুলো সংক্ষেপে আপনাদের সামনে তোলে ধরা হলো- ভিন্নধর্মী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। লয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে অসাধারণ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির। এই কর্মসূচির সবচেয়ে চমৎকার দিক হলো এখানে লয় পরিবারের সদস্যরা নিজেরাই চারগুলো রোপণে শ্রম দিয়েছেন। আমরা মসজিদ, কবরস্থানসহ বেশকিছু স্থানে বিভিন্ন জাতের চারা নিজেরা রোপণ করেছি। ইয়াতিমখানায় স্পেশাল খাবারের আয়োজন। লয়ের পক্ষ থেকে ইয়াতিম, অসহায় শিশুদের জন্য ভালো খাবারের আয়োজন করা হয়। লয় দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রজ...

মুসলিমদের কেমন ঐক্য প্রয়োজন?

Image
​ লেখা: মুহাম্মাদ আইনান ইকবাল  মুসলিমদের   এখন মূল সমস্যা আক্বীদাগত বিভক্তি। আক্বীদাগত ঐক্য পূর্ণরূপে সম্ভব না। এত উপদল, ফিরকা কখনই একই আক্বীদায় আসবে না। তাহলে কী প্রয়োজন? প্রয়োজন ঈমানের ৭ টি বিষয়ের ভিত্তিতে এবং মুসলিম পরিচয়ের ভিত্তিতে মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের আন্তর্জাতিক ঐক্য গড়ে তোলা। এখানে যার আক্বীদা যাইহোক, ঐক্যটা হবে কালিমার ভিত্তিতে। উদাহরণ হিসেবে ধরুন, ইরানের বড়ো একটি অংশ শিয়া মতবাদের অনুসারী। ফিলিস্তিন বা পুরো মধ্যপ্রাচ্যের কথাই যদি ধরি, এরা মূলত সুন্নি মুসলিম। এখন আক্বীদাগত বিভক্তি থাকা সত্ত্বেও ইরান ইসরাইল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিল। এই বিষয়টা জরুরি। বর্তমানে মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানরা মুসলিমদের আন্তর্জাতিক ঐক্যের চেয়ে নিজ নিজ জাতীয়তাবাদকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, তুর্কি জাতীয়তাবাদ বা আরব জাতীয়তাবাদের কথা। এই বিষয়টি থেকে বেরিয়ে এসে মুসলিম দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানরা যদি ইসলামের মূল বিশ্বাসের ভিত্তিতে এক হয় তবেই মুসলিম জাতির বড়ো উন্নতি সম্ভব। মজলুম মুসলমানদের বৃহত্তর কল্যাণে এই ঐক্য জরুরি। অবিশ্বাসীরা যদি ভিন্ন বিশ...

লাইলাতুল বারাআত প্রসঙ্গে

Image
লাইলাতুল বারাআতকে হাদিসে 'লাইলাতুন নিসফি মিন শা'বান' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ 'শা'বানের মধ্যরাত'। এই রাতে সাধ্যমতো ইবাদত করার কথা রয়েছে। তবে নির্দিষ্ট করে এই রজনীর কোনো সালাত, জামা'আত নেই। কেউ চাইলে মুস্তাহাব হিসেবে একা একা সালাত আদায় করতে পারেন। এই পবিত্র রাত সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ হাদিসসমূহ: হযরত আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে রয়েছে, “আমি এক রাতে রসুলুল্লাহকে (ﷺ) বিছানায় পেলাম না। তাই আমি অত্যন্ত পেরেশান হয়ে খোঁজাখুঁজি আরম্ভ করলাম। খোঁজতে খোঁজতে দেখি, তিনি জান্নাতুল বাকীর মধ্যে মহান আল্লাহর প্রার্থনায় মগ্ন। তখন তিনি আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আয়িশা! আমার নিকট হযরত জিবরাইল (আঃ) উপস্থিত হয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, আজ রাত হলো নিসফে শা'বান (অর্থাৎ, লাইলাতুল বারাআত)। এ রাতে আল্লাহ তা'আলা অধিক পরিমাণে জাহান্নামবাসী লোকদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। এমনকি কালব বংশের বকরিগুলোর লোম সমপরিমাণ গুনাহগার বান্দা হলেও।” (মিশকাত শরীফ-১১৫ পৃঃ) হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রাঃ থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, আল্লাহ তা'আলা অর্ধ শা’বানের রাতে (শা’...

কারবালার যেই শিক্ষা আমরা উপলব্ধি করিনা!

Image
​ কারবালার ঘটনার একটি বড়ো শিক্ষা সম্পর্কে সবচেয়ে কম আলোচনা হয়। তাহলো নিকটস্থ মুনাফিকদের দ্বারা আমাদের ইমাম হুসাইনের (রাঃ) প্রতারিত হওয়ার ঘটনা।  আল্লাহর রসুলের (ﷺ) দৌহিত্র ইমাম হুসাইন ইবনে আলি (রাঃ) মক্কায় আগমনের সঙ্গে সঙ্গে কুফা থেকে তাঁর কাছে চিঠিপত্র আসতে শুরু করল। অল্প সময়ের মধ্যে হজরত ইমাম হুসাইনের (রাঃ) কাছে দেড়শত চিঠি এসে পৌঁছল। প্রত্যেকটি চিঠির বিষয় আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ছিল। চিঠিতে তারা জানালো, “আমরা আপনার সম্মানিত পিতা হজরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহুর (রাঃ) অনুসারী। আহলে বাইতের ভক্ত। আমরা তো হজরত মুয়াবিয়াকে (রাঃ) সমর্থন করিনি। তাঁর অনুপযুক্ত ছেলে ইয়াজিদকে মানার প্রশ্নই ওঠতে পারে না। আমরা আপনার পিতা হজরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহু (রাঃ) ও আপনার ভাই হজরত ইমাম হাসানের (রাঃ) সমর্থনকারী। আমরা ইয়াজিদের অনুসারী নই। কিন্তু আমরা ইয়াজিদকে খলিফা বা ইমাম মানতে পারি না। আপনাকেই আমাদের ইমাম ও আমাদের খলিফা বলে মনে করি। আপনি মেহেরবানি করে কুফায় তাশরিফ আনুন। আমরা আপনার হাতে বাইয়াত হব। আপনাকে খলিফা হিসেবে গ্রহণ করব। আপনার জন্য আমাদের জানমাল  কুরবান করতে প্রস্তুত আছি। ...

লাইলাতুল বারাআত প্রসঙ্গে

Image
লাইলাতুল বারাআতকে হাদিসে 'লাইলাতুন নিসফি মিন শা'বান' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ 'শা'বানের মধ্যরাত'। এই রাতে সাধ্যমতো ইবাদত করার কথা রয়েছে। তবে নির্দিষ্ট করে এই রজনীর কোনো সালাত, জামা'আত নেই। কেউ চাইলে মুস্তাহাব হিসেবে একা একা সালাত আদায় করতে পারেন। এই পবিত্র রাত সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ হাদিসসমূহ: হযরত আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে রয়েছে, “আমি এক রাতে মহানবিকে (ﷺ) বিছানায় পেলাম না। তাই আমি অত্যন্ত পেরেশান হয়ে খোঁজাখুঁজি আরম্ভ করলাম। খোঁজতে খোঁজতে দেখি, তিনি জান্নাতুল বাকীর মধ্যে মহান আল্লাহর প্রার্থনায় মগ্ন। তখন তিনি আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আয়িশা! আমার নিকট হযরত জিবরাইল (আঃ) উপস্থিত হয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, আজ রাত হলো নিসফে শা'বান (অর্থাৎ, লাইলাতুল বারাআত)। এ রাতে আল্লাহ তা'আলা অধিক পরিমাণে জাহান্নামবাসী লোকদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। এমনকি কালব বংশের বকরিগুলোর লোম সমপরিমাণ গুনাহগার বান্দা হলেও।” (মিশকাত শরীফ-১১৫ পৃঃ) হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রাঃ থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, আল্লাহ তা'আলা অর্ধ শা’বানের রাতে (শা’বানে...

যিনি পুরো পৃথিবীটাই পরিবর্তন করলেন!

Image
লেখা: আইনান ইয়াসরবি পৃথিবীর সবচাইতে অন্ধকার, অজ্ঞতায় নিমজ্জিত এক জনপদে হঠাৎ একজন মানুষের আবির্ভাব হলো। যিনি ঐ জনপদের, ঐ সমাজের অন্য মানুষ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। যেখানে অন্যরা প্রতিনিয়ত অন্যায়-জুলুমে মত্ত সেখানে এই মানুষটির চিন্তা কীভাবে এসব বন্ধ করা যায়। যেখানে অন্যরা নারীদের ছোটো করে, নারীদের জীবন্ত হত্যা করে কিংবা মদ-জুয়াই মশগুল, জিনা-ব্যভিচার করে বেড়ায়, খুন-রাহাজানি করে বেড়ায় প্রকাশ্যে সেখানে ঐ ভিন্ন মানুষটি নারী অধিকারের কথা বলেন, মদ-জুয়ার বিরুদ্ধে কথা বলেন, জিনা-ব্যভিচারের বিরুদ্ধে কথা বলেন, খুন-রাহাজানি বন্ধের কথা বলেন। যেখানে অন্য মানুষেরা জড় পদার্থ, মূর্তি ইত্যাদির সামনে অনায়াসে মাথানত করে, সৃষ্টির সেরা হয়েও নিজেদের সৃষ্ট মূর্তির পূজা করে সেখানে এই মানুষটি বলেন পুরো দুনিয়ার একজনই স্রষ্টা, আর তিনিই সর্বশক্তিমান। মানুষ তাকে সৃষ্টি করে না, বরং তিনি সকল কিছুর উর্ধ্বে। চল্লিশ বছর বয়সে হঠাৎ একদিন তিনি ঐ একত্ববাদী খোদার প্রচার শুরু করলেন। পৃথিবীর নিকৃষ্ট জনপদকে, সমাজকে উৎকৃষ্ট জনপদে পরিণত করলেন। অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, মূল কথা সকল ক্ষেত্রেই এই মানুষটি বিপ্লব সৃষ্ট...

লয়ের ইউটিউব চ্যানেলে শুরু হলো কুরআনের ভিন্নধর্মী সচিত্র অনুবাদ

Image
লয় রিপোর্ট লাইট অব ইয়াসরব  ইউটিউব চ্যানেলে পবিত্র ক্বুরআনুল মাজীদের সূরাসমূহের তিলাওয়াতসহ সচিত্র অনুবাদ করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী আধুনিক এক আয়োজন। সচিত্র অনুবাদের কারণে সহজেই পবিত্র ক্বুরআনের মর্ম সাধারণ মানুষ উপলব্ধি করতে পারবেন। মূলত লয়ের প্রতিষ্ঠাতা  মুহাম্মাদ আইনান ইকবাল  নিজেই তিলাওয়াত, অনুবাদসহ ভিডিয়ো সম্পাদনার যাবতীয় কাজ করছেন। এই ধরণের আয়োজন বাংলাদেশে এই প্রথম। সচিত্র অনুবাদে ভিডিয়োর মাধ্যমে  সূরার অর্থ ও মর্ম একজন সাধারণ মানুষ সহজেই বোঝতে পারেন। ভিডিয়ো দেখুন নিচে:

জুম'আর পর চলে গেলেন মসজিদে নববীর সেই শতবর্সী কোরআনপ্রেমী

Image
সুদূর ইমাম বোখারির (রহঃ) দেশ থেকে তিনি এসেছিলেন সবুজ গম্বুজের টানে। প্রিয় নবীজির ভালোবাসায়, মসজিদে নববীর খেদমতে এবং রওজায়ে আতহারের সান্নিধ্যে ছিলেন তিনি। সেই যে পুণ্যভূমিতে এসেছিলেন আর ফিরে যাননি। ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি মদিনার মানুষ ও প্রিয় নবীজির (সঃ) প্রতিবেশী। তিনি হলেন সায়্যিদ মহিউদ্দিন (রহঃ)। গত শুক্রবার জুম'আর সময় ইন্তেকাল করেন তিনি। সৌদি মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্বব্যাপী তার মৃত্যু সংবাদ বহুল প্রচারিত হয়েছে। এর পর থেকে বহু মানুষ তার মাগফিরাতের দোয়া করেছেন। মিডিয়ার দেওয়া তথ্যানুযায়ী, মহিউদ্দিন হাফিজুল্লাহর জানাজা শনিবার ফজরের পর মসজিদে নববীতেই অনুষ্ঠিত হয়। আল জাজিরা জানিয়েছে, মদিনা-মুনাওয়ারায় উম্মুল মুমেনিনসহ অসংখ্য সাহাবি তাবিয়ির সমাধিস্থান জান্নাতুল বাকিতে তাকে সমাহিত করা হয়েছে। সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল এই মানুষটি সবসময় কোরআন তিলাওয়াতে রত থাকতেন। আল্লাহর জিকিরে জিহ্বা সিক্ত থাকত। ৫০ বছর ধরে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে নববীতেই আদায় করতেন। স্ত্রী-সন্তান ছিল না। একাকী একটি ঘরে থাকতেন। মদিনাবাসীর ভাষ্যমতে, তিনি ছিলেন সত্যিকারের দুনিয়াত্যাগী, ইবাদত...

রমাদান মাস: নিজেকে পরিবর্তনের সর্বোত্তম সময

Image
লেখা: মুহাম্মাদ আইনান ইকবাল রমাদান মাস এমন এক সময় যেই মাস রহমত, বরকত আর মাগফিরাত দ্বারা পরিপূর্ণ। আত্মনিয়ন্ত্রণ, আত্মশুদ্ধি অর্জনের মোক্ষম সময় এই মাস।  মানুষ মাত্রই ভুল এবং গুনাহে নিমজ্জিত। আর যেই বান্দা নিজেকে গুনাহ থেকে পরিশুদ্ধ করে এবং আল্লাহ তা\"আলার দরবারে খাঁটি মনে তাওবাহ করে আল্লাহ তা\"আলা তাকে ক্ষমা করেন। আর অনেক মানুষই আছে গোপন ও প্রকাশ্য গুনাহে আসক্ত। নিজেকে গুনাহ থেকে মুক্ত করতে পারছেন না। আজ সালাত আদায় করেন নাই; কাল থেকে আদায় করবেন, এভাবে গুনাহও ছাড়া হচ্ছে না, আমলও করা হচ্ছে না।  মানুষ চাইলে রমাদান মাসের শুরু থেকে একটি বিশেষ টার্গেট করতে পারে। টার্গেটটা এমন রমাদানের শুরু থেকে কোনো কাজই আল্লাহর সন্তুষ্টি বিরোধী হবে না। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত মাস্ট আদায় করতে হবে, প্রতিটা রোজা নিয়মিত রাখতে হবে, প্রকাশ্য ও গোপন গুনাহ থেকে নিজেকে সরিয়ে আনতে হবে। এভাবে রমাদানের এক তারিখকে টার্গেট করে গুনাহমুক্ত, উত্তম আমলযুক্ত জীবনের চর্চা শুরু করা যায়; তারপর রমাদানের পুরো মাসে যদি একজন মানুষ এরকম রুটিন মেনে চলে দেখা যাবে পুরো বছরটাই ধীরে ধীরে সে তার গুনাহ থেকে মুক্ত থাকতে পারবে,...

দাড়ি রাখা কি শুধুই সুন্নত?

Image
লেখা: মুহাম্মাদ আইনান ইকবাল           (সম্পাদক, লয়) এই বিষয়ে পূর্বেও একটি লেখা লেখেছিলাম। তবে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে পুনরায় এমন একটি লেখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। প্রত্যেক নবীরই (আঃ) দাড়ি ছিল। রসূলে খোদাসহ (ﷺ) সকল নবী রসূলের (আঃ) সিরাত পড়লেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। পবিত্র ক্বুরআনুল মাজীদে হযরত হারুনের (আঃ) ঘটনায় দাড়ির কথা উল্লেখ রয়েছে। ক্বুরআনে দাড়ি সম্পর্কিত আয়াতটি হলো- হযরত মুসা (আঃ) তাঁর কওমের নিকট ফিরে এসে যখন দেখলেন তাঁর কওম গোমরা হয়ে গেছে, তখন তিনি হযরত হারুনকে (আঃ) প্রশ্ন করলেন এবং হারুন (আঃ) জবাবে বলেন, “হে আমার মায়ের ছেলে! আমার দাড়ি ধর না এবং আমার মাথার চুলও টেনো না।” (সুরা ত্বোয়া-হা: আয়াত ৯৪) অতএব, এই সিদ্ধান্ত নেয়া যায় যে দাড়ি শুধু রসূল (ﷺ) রাখেননি, প্রত্যেক নবীরই (আঃ) দাড়ি ছিল। প্রত্যেকটি মাজহাব মতেই দাড়ি রাখা ওয়াজিব। ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, “নবী করীম (ﷺ) বলেছেন, তোমরা মুশরিকদের বিপরীত করবে, দাড়ি লম্বা রাখবে, গোঁফ ছোট করবে।”  (সহীহ বুখারি, হাদিস নং-৫৪৭২) হাদীসটিতে রসূলুল্লাহ (ﷺ) দাড়ি রাখার নির্দেশ অথবা আদেশ দিয়েছেন এবং রাখা...