লাইলাতুল বারাআত প্রসঙ্গে
- Get link
- X
- Other Apps
লাইলাতুল বারাআতকে হাদিসে 'লাইলাতুন নিসফি মিন শা'বান' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ 'শা'বানের মধ্যরাত'। এই রাতে সাধ্যমতো ইবাদত করার কথা রয়েছে। তবে নির্দিষ্ট করে এই রজনীর কোনো সালাত, জামা'আত নেই। কেউ চাইলে মুস্তাহাব হিসেবে একা একা সালাত আদায় করতে পারেন।
এই পবিত্র রাত সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ হাদিসসমূহ:
হযরত আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে রয়েছে, “আমি এক রাতে রসুলুল্লাহকে (ﷺ) বিছানায় পেলাম না। তাই আমি অত্যন্ত পেরেশান হয়ে খোঁজাখুঁজি আরম্ভ করলাম। খোঁজতে খোঁজতে দেখি, তিনি জান্নাতুল বাকীর মধ্যে মহান আল্লাহর প্রার্থনায় মগ্ন। তখন তিনি আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আয়িশা! আমার নিকট হযরত জিবরাইল (আঃ) উপস্থিত হয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, আজ রাত হলো নিসফে শা'বান (অর্থাৎ, লাইলাতুল বারাআত)। এ রাতে আল্লাহ তা'আলা অধিক পরিমাণে জাহান্নামবাসী লোকদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। এমনকি কালব বংশের বকরিগুলোর লোম সমপরিমাণ গুনাহগার বান্দা হলেও।” (মিশকাত শরীফ-১১৫ পৃঃ)
হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রাঃ থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, আল্লাহ তা'আলা অর্ধ শা’বানের রাতে (শা’বানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৫৬৬৫)
হযরত সাইয়্যিদুনা আলি (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবি করিম (ﷺ) এর মহান বাণী, “যখন শা'বানের ১৫তম রাতের আগমন ঘটে তখন তাতে কিয়াম (ইবাদত) করো আর দিনে রোযা রাখো । নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা'আলা সূর্যাস্তের পর থেকে প্রথম আসমানে বিশেষ তাজাল্লি বর্ষণ করেন এবং ইরশাদ করেন, “কেউ আছ কি আমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনাকারী? তাকে আমি ক্ষমা করে দেবো। কেউ আছ কি জীবিকা প্রার্থনাকারী? তাকে আমি জীবিকা দান করব। কেউ কি আছ মুসিবতগ্রস্ত? তাকে আমি মুক্ত করব। কেউ এমন আছ কি? এভাবে সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তা'আলা তার বান্দাদেরকে ডাকতে থাকবেন।” (সুনানে ইবনে মাযাহ, ২য় খন্ড, পৃঃ ১৬০, হাদিস নং-১৩৮৮)
লেখক: মুহাম্মাদ আইনান ইকবাল
(ব্লগার, কবি ও ডিজিটাল কনটেন্ট ক্রিয়েটর। প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, লাইট অব ইয়াসরব-লয়। ছাত্র, আইন বিভাগ, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।)
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment