লয় বা লাইট অব ইয়াসরব কী?

Image
আস্সালামু আলাইকুম, Light of Yasrab , যাকে সংক্ষেপে বলা হয় LoY , একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম। লয় সবসময় অসহায় ও দরিদ্র মানুষের জন্য কাজ করে। এছাড়া লয়ের আছে অনলাইন ব্লাড ব্যাংক যার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত স্বেচ্ছায় রক্তদান করছেন লাইট অব ইয়াসরব-লয়ের ভাইয়েরা। তাছাড়া রয়েছে লয়ের নিজস্ব ট্যুর গ্রুপ এবং  ইন-শা-আল্লাহ দ্রুতই চালু হচ্ছে    লয় এডুকেশন সেন্টার । LoY-এর মূল স্লোগান: “পীড়িতকে সাহায্য করি, দরিদ্রকে আশ্রয় দিই, অসহায়কে সহায়তা করি।” এখন পর্যন্ত লয় যেসব মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সেগুলো সংক্ষেপে আপনাদের সামনে তোলে ধরা হলো- ভিন্নধর্মী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। লয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে অসাধারণ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির। এই কর্মসূচির সবচেয়ে চমৎকার দিক হলো এখানে লয় পরিবারের সদস্যরা নিজেরাই চারগুলো রোপণে শ্রম দিয়েছেন। আমরা মসজিদ, কবরস্থানসহ বেশকিছু স্থানে বিভিন্ন জাতের চারা নিজেরা রোপণ করেছি। ইয়াতিমখানায় স্পেশাল খাবারের আয়োজন। লয়ের পক্ষ থেকে ইয়াতিম, অসহায় শিশুদের জন্য ভালো খাবারের আয়োজন করা হয়। লয় দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রজ...

শিক্ষার্জন বনাম অর্থ উপার্জন


লেখক:  মুহাম্মাদ আইনান ইকবাল (আইনান ইয়াসরবি)

যতই "শিক্ষা" "শিক্ষা" করো না কেন, যতদিন শিক্ষার্থীদের মাথায় এবং তাদের অভিভাবকদের মাথায় শিক্ষার্জনের মূল লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ঢোকবেনা ততদিন "শিক্ষিত" শব্দটি শুধু মুখের বুলিই থেকে যাবে; বাস্তবে কেউ শিক্ষিত হবেনা। তাহলে শিক্ষার্জনের মূল উদ্দেশ্য কী! একটু বিস্তারিত আলোচনা করি।

এখন অভিভাবকেরা তাদের ছেলে-মেয়েদের প্রাতিষ্ঠানিক মুখস্থ বিদ্যা রপ্ত করায় কেন? উত্তর হলো কেবল একটি চাকরি পাওয়ার জন্য। শিক্ষার্থীরাও সেই উদ্দেশ্যেই পড়ালেখা করে। অর্থাৎ এখন প্রচলিত শিক্ষার্জনের মূল উদ্দেশ্যই যেন অর্থ উপার্জন। কিন্তু আসলেই কি এটি শিক্ষার্জনের মূল উদ্দেশ্য? কখনোই না। শিক্ষার্জন ছাড়াও আরও অনেক কাজকর্ম করে টাকা উপার্জন করা যায়, অন্ন জোগাড় করা যায়। জমিতে হালচাষ থেকে শুরু করে ব্যাবসাবাণিজ্য পর্যন্ত সর্বত্রই অর্থ উপার্জনের অগাধ সুযোগ। অতএব, অর্থ উপার্জন কখনোই শিক্ষার্জনের উদ্দেশ্য হতে পারেনা। 

শিক্ষার্জনের মূল উদ্দেশ্য হলো জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে ভালো-মন্দ বোঝার ও মনুষ্যত্ব অর্জন করার ক্ষমতা লাভ করা। যখন কোনো মানুষ তার শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে, তার জ্ঞানকে ব্যবহার করে ভালোকে ভালো এবং মন্দকে মন্দ বলার ক্ষমতা অর্জন করবে, ভালো ও মন্দের তফাত বোঝতে পারবে, মানুষ কেন মানুষ, মনুষ্যত্ব কী, তা উপলব্ধি করতে পারবে, তখনই কেবল তাকে শিক্ষিত হিসেবে বিবেচনা করা যাবে; এর বিপরীত হলে সে মূর্খ সমাজের চোখে শিক্ষিত সাজলেও আসলে একটা নির্বোধ, গবেট।

Comments

Popular posts from this blog

সংস্কার নয়, প্রয়োজন নতুন সংবিধান প্রণয়ন: জনকল্যাণ, সুশাসন ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে একটি নতুন শুরু

ভারতে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়ের কীর্তি দেখে হার্টঅ্যাটাক মা-বাবার

লাইলাতুল বারাআত প্রসঙ্গে