লয় বা লাইট অব ইয়াসরব কী?

Image
আস্সালামু আলাইকুম, Light of Yasrab , যাকে সংক্ষেপে বলা হয় LoY , একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম। লয় সবসময় অসহায় ও দরিদ্র মানুষের জন্য কাজ করে। এছাড়া লয়ের আছে অনলাইন ব্লাড ব্যাংক যার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত স্বেচ্ছায় রক্তদান করছেন লাইট অব ইয়াসরব-লয়ের ভাইয়েরা। তাছাড়া রয়েছে লয়ের নিজস্ব ট্যুর গ্রুপ এবং  ইন-শা-আল্লাহ দ্রুতই চালু হচ্ছে    লয় এডুকেশন সেন্টার । LoY-এর মূল স্লোগান: “পীড়িতকে সাহায্য করি, দরিদ্রকে আশ্রয় দিই, অসহায়কে সহায়তা করি।” এখন পর্যন্ত লয় যেসব মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সেগুলো সংক্ষেপে আপনাদের সামনে তোলে ধরা হলো- ভিন্নধর্মী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। লয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে অসাধারণ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির। এই কর্মসূচির সবচেয়ে চমৎকার দিক হলো এখানে লয় পরিবারের সদস্যরা নিজেরাই চারগুলো রোপণে শ্রম দিয়েছেন। আমরা মসজিদ, কবরস্থানসহ বেশকিছু স্থানে বিভিন্ন জাতের চারা নিজেরা রোপণ করেছি। ইয়াতিমখানায় স্পেশাল খাবারের আয়োজন। লয়ের পক্ষ থেকে ইয়াতিম, অসহায় শিশুদের জন্য ভালো খাবারের আয়োজন করা হয়। লয় দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রজ...

মিলিটারি-শাসন যাদের পছন্দ

লেখাAzam Rana

মিয়ানমার ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে বের হয় ১৯৪৮ সালে। দেশটি প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর ছিলো, মানুষ ছিলো না। আজও মাত্র ৬ কোটি মানুষ। এতো সম্পদ থাকার পরও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেনি মিলিটারির কারণে। ১৯৫৮ সালের ভোটে তৎকালীন সময়ের নেতা ইউ নু ধর্মীয়দের আস্কারা দেয়। ধর্মীয়রা দেশের জন্য কখনোই ভালো নয়। ওরা ভোটে গন্ডগোল করে; সেই ছুতো ধরে ১৯৬২ সালে মিলিটারি ক্ষমতা দখল করে নেয়। এখনও ওরাই দেশ চালাচ্ছে। সম্পদে-ভরা দেশের মানুষ আরব ও চীনাদের দাসে পরিণত হয়েছে।

আফগানিস্তান রাজতন্ত্র থেকে প্রজাতন্ত্রে যাবার জন্য ১৯৭৩ সালে রাজা জহির শাহকে ক্ষমতাচ্যুত করে। তাদের সেই কাঙ্ক্ষিত রিপাবলিকের দেখা আজও মেলেনি। 
আরেকটি দেশ ইয়েমেন, এটি রাজতান্ত্রিক একটি দেশ ছিল। স্বাধীন হতে গিয়ে দুই ভাগ হলো- নর্থ ইয়েমেন(১৯৬২ - ১৯৯০), সাউথ ইয়েমেন (১৯৬৭-১৯৯০); অতঃপর এক ইয়েমেন, তারপর আবার বিভক্তি। একাংশ সোশ্যালিস্ট হলো (সাউথ), অন্য অংশ ক্যাপিটালিস্ট (নর্থ)। অতঃপর এক হলো, ইসলামিক হলো,তবুও কিছুতেই শান্তি নেই। এখন শিয়া-সুন্নী সমস্যা। শিয়াদের অস্ত্র দিচ্ছে ইরান, সুন্নীদের হয়ে বোমা ফেলে যাচ্ছে সৌদী আরব। সুখ শান্তির মুখ দেখলো না মানুষগুলো। দিনের ২টার পর, দেশের ৯০ ভাগ পুরুষ ও ৭০ ভাগ নারী মাতাল থাকে।
বাঙালিরা সুখের আশায় মিলিটারির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গিয়ে ৩০ লাখ প্রাণ দিলেন।এতো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত দেশের স্বাধীনতা সেই মিলিটারিই আবার কেড়ে নেয়।আজও স্বনির্ভর হতে পারলোনা।একজন শিক্ষিত মানুষও দেশটিকে স্বনির্ভর করার কথা বলছে না। 
মিশরের মানুষগুলো আরবদের মাঝে খুবই মডারেট ছিল। তারা এখন আরব হলেও, ওদের নিজস্ব সংস্কৃতি ছিল। যার ফলে ওখানে কখনো বেদুইনদের মতো গোত্র সমস্যা ছিলো না। জামাল নাসের দেশটিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য বিরাট প্রোগ্রামও নিয়েছিলেন। ভুল করলেন যুদ্ধ করে প্যালেস্টাইন প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে। এতে তিনি ইউএন , আমেরিকা ও ইউরোপের বিপক্ষে অবস্থান নেন ও সেনা বাহিনীর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন।সেটিই মিশরকে আজকের অবস্থানে এনেছে। এখন লোকজন প্রতিদিন পিরামিড দেখে, আর মিলিটারির রেশন কার্ডে আমেরিকান আটা খায়।

Comments

Popular posts from this blog

সংস্কার নয়, প্রয়োজন নতুন সংবিধান প্রণয়ন: জনকল্যাণ, সুশাসন ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে একটি নতুন শুরু

ভারতে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়ের কীর্তি দেখে হার্টঅ্যাটাক মা-বাবার

লাইলাতুল বারাআত প্রসঙ্গে