লয় বা লাইট অব ইয়াসরব কী?

Image
আস্সালামু আলাইকুম, Light of Yasrab , যাকে সংক্ষেপে বলা হয় LoY , একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম। লয় সবসময় অসহায় ও দরিদ্র মানুষের জন্য কাজ করে। এছাড়া লয়ের আছে অনলাইন ব্লাড ব্যাংক যার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত স্বেচ্ছায় রক্তদান করছেন লাইট অব ইয়াসরব-লয়ের ভাইয়েরা। তাছাড়া রয়েছে লয়ের নিজস্ব ট্যুর গ্রুপ এবং  ইন-শা-আল্লাহ দ্রুতই চালু হচ্ছে    লয় এডুকেশন সেন্টার । LoY-এর মূল স্লোগান: “পীড়িতকে সাহায্য করি, দরিদ্রকে আশ্রয় দিই, অসহায়কে সহায়তা করি।” এখন পর্যন্ত লয় যেসব মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সেগুলো সংক্ষেপে আপনাদের সামনে তোলে ধরা হলো- ভিন্নধর্মী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। লয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে অসাধারণ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির। এই কর্মসূচির সবচেয়ে চমৎকার দিক হলো এখানে লয় পরিবারের সদস্যরা নিজেরাই চারগুলো রোপণে শ্রম দিয়েছেন। আমরা মসজিদ, কবরস্থানসহ বেশকিছু স্থানে বিভিন্ন জাতের চারা নিজেরা রোপণ করেছি। ইয়াতিমখানায় স্পেশাল খাবারের আয়োজন। লয়ের পক্ষ থেকে ইয়াতিম, অসহায় শিশুদের জন্য ভালো খাবারের আয়োজন করা হয়। লয় দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রজ...

যিনি পুরো পৃথিবীটাই পরিবর্তন করলেন!

লেখা: আইনান ইয়াসরবি

পৃথিবীর সবচাইতে অন্ধকার, অজ্ঞতায় নিমজ্জিত এক জনপদে হঠাৎ একজন মানুষের আবির্ভাব হলো। যিনি ঐ জনপদের, ঐ সমাজের অন্য মানুষ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। যেখানে অন্যরা প্রতিনিয়ত অন্যায়-জুলুমে মত্ত সেখানে এই মানুষটির চিন্তা কীভাবে এসব বন্ধ করা যায়। যেখানে অন্যরা নারীদের ছোটো করে, নারীদের জীবন্ত হত্যা করে কিংবা মদ-জুয়াই মশগুল, জিনা-ব্যভিচার করে বেড়ায়, খুন-রাহাজানি করে বেড়ায় প্রকাশ্যে সেখানে ঐ ভিন্ন মানুষটি নারী অধিকারের কথা বলেন, মদ-জুয়ার বিরুদ্ধে কথা বলেন, জিনা-ব্যভিচারের বিরুদ্ধে কথা বলেন, খুন-রাহাজানি বন্ধের কথা বলেন। যেখানে অন্য মানুষেরা জড় পদার্থ, মূর্তি ইত্যাদির সামনে অনায়াসে মাথানত করে, সৃষ্টির সেরা হয়েও নিজেদের সৃষ্ট মূর্তির পূজা করে সেখানে এই মানুষটি বলেন পুরো দুনিয়ার একজনই স্রষ্টা, আর তিনিই সর্বশক্তিমান। মানুষ তাকে সৃষ্টি করে না, বরং তিনি সকল কিছুর উর্ধ্বে। চল্লিশ বছর বয়সে হঠাৎ একদিন তিনি ঐ একত্ববাদী খোদার প্রচার শুরু করলেন। পৃথিবীর নিকৃষ্ট জনপদকে, সমাজকে উৎকৃষ্ট জনপদে পরিণত করলেন। অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, মূল কথা সকল ক্ষেত্রেই এই মানুষটি বিপ্লব সৃষ্টি করলেন। যেখানে এক মানুষ আরেক মানুষের দাস হয়ে থাকে, সাদা আর কালোর মধ্যে ভেদাভেদ করা হয় সেখানেই তিনি ঘোষণা দিলেন, মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ নেই। বিশ্বাস ও খোদাভীতিই কেবল মানুষকে শ্রেষ্ঠ করে। তাঁর জাতির ক্ষমতাবান লোকেরা নিজেদের মান-মর্যাদা এবং দীর্ঘদিনের লালিত অন্ধবিশ্বাস, বাপ-দাদার ধর্মের ক্ষতি হওয়ার ভয়ে তার বিরোধিতা করতে লাগল। তাকে হত্যার হীন চেষ্টা পর্যন্ত চালাল। কিন্তু সবশেষে কী হলো! ঐ মানুষটিই সফল হলেন। 

আপনার কি মনে হয় ইতিহাসের পাতায় লেখা এই সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষটি কোনো সাধারণ মানুষ? কোনো সাধারণ মানুষের পক্ষে কি আদৌ পুরো দুনিয়ায় এত বড়ো বিপ্লব সৃষ্টি করা সম্ভব যার দরুন শুধু সমাজ, রাষ্ট্রের পরিবর্তনই ঘটেনি, বরং একসময়ের বর্বর আরব জাতি শ্রেষ্ঠ জাতিতে পরিণত হয়ে পুরো বিশ্ব শাসন করেছে? না। যুক্তিতে মেলে না। এরকম মানুষ কোনো সাধারণ মানুষ নয়, বরং মহামানব। আর তিনিই পৃথিবীর সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ সল্লল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বিপ্লব সৃষ্টি করা সম্ভব যার দরুন শুধু সমাজ, রাষ্ট্রের পরিবর্তনই ঘটেনি, বরং একসময়ের বর্বর আরব জাতি শ্রেষ্ঠ জাতিতে পরিণত হয়ে পুরো বিশ্ব শাসন করেছে? না। যুক্তিতে মেলে না। এরকম মানুষ কোনো সাধারণ মানুষ নয়, বরং মহামানব। আর তিনিই পৃথিবীর সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ সল্লল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।



Comments

Popular posts from this blog

সংস্কার নয়, প্রয়োজন নতুন সংবিধান প্রণয়ন: জনকল্যাণ, সুশাসন ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে একটি নতুন শুরু

ভারতে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়ের কীর্তি দেখে হার্টঅ্যাটাক মা-বাবার

লাইলাতুল বারাআত প্রসঙ্গে