কারবালার যেই শিক্ষা আমরা উপলব্ধি করিনা!
- Get link
- X
- Other Apps
কারবালার ঘটনার একটি বড়ো শিক্ষা সম্পর্কে সবচেয়ে কম আলোচনা হয়। তাহলো নিকটস্থ মুনাফিকদের দ্বারা আমাদের ইমাম হুসাইনের (রাঃ) প্রতারিত হওয়ার ঘটনা।
আল্লাহর রসুলের (ﷺ) দৌহিত্র ইমাম হুসাইন ইবনে আলি (রাঃ) মক্কায় আগমনের সঙ্গে সঙ্গে কুফা থেকে তাঁর কাছে চিঠিপত্র আসতে শুরু করল। অল্প সময়ের মধ্যে হজরত ইমাম হুসাইনের (রাঃ) কাছে দেড়শত চিঠি এসে পৌঁছল। প্রত্যেকটি চিঠির বিষয় আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ছিল। চিঠিতে তারা জানালো, “আমরা আপনার সম্মানিত পিতা হজরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহুর (রাঃ) অনুসারী।
আহলে বাইতের ভক্ত। আমরা তো হজরত মুয়াবিয়াকে (রাঃ) সমর্থন করিনি। তাঁর অনুপযুক্ত ছেলে ইয়াজিদকে মানার প্রশ্নই ওঠতে পারে না। আমরা আপনার পিতা হজরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহু (রাঃ) ও আপনার ভাই হজরত ইমাম হাসানের (রাঃ) সমর্থনকারী।
আমরা ইয়াজিদের অনুসারী নই। কিন্তু আমরা ইয়াজিদকে খলিফা বা ইমাম মানতে পারি না। আপনাকেই আমাদের ইমাম ও আমাদের খলিফা বলে মনে করি। আপনি মেহেরবানি করে কুফায় তাশরিফ আনুন।
আমরা আপনার হাতে বাইয়াত হব। আপনাকে খলিফা হিসেবে গ্রহণ করব। আপনার জন্য আমাদের জানমাল কুরবান করতে প্রস্তুত আছি। আপনার হাতে বাইয়াত হয়ে আপনার অনুসরণে জিন্দেগি অতিবাহিত করতে ইচ্ছুক। আপনি আমাদের কাছে তাশরিফ আনুন। আমাদের প্রতি মেহেরবানি করুন। আমাদেরকে আপনার বরকত দ্বারা উপকৃত করুন।”
কিছু অনুকূল ইঙ্গিত পেয়ে ইমাম তাঁর আত্মীয়স্বজন ও অনুসারীদের একটি ছোটো কাফেলা নিয়ে কুফার অভিমুখে যাত্রা করেন জালিম ইয়াজিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে মজলুমদের রক্ষা করার জন্য। কিন্তু কারবালার নিকটে ইয়াজিদের সেনাবাহিনী তাঁর কাফেলাটির পথরোধ করে এবং এইসময় কুফাবাসীরা কেউ ইমামের পক্ষে এগিয়ে আসেনি। বরং বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। যাদের পক্ষে লড়তে এসেছেন তারাই মুনাফেকি করলো দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মাদের (ﷺ) প্রিয় দৌহিত্রের সাথে। অথচ যারা বিশ্বাসঘাতকতা করলো, মুনাফেকি করলো তারাও নামে মুসলিম ছিল। যেখানে রসূলুল্লাহর (ﷺ) প্রিয় দৌহিত্র বিশ্বাসঘাতকদের কারণে শহিদ হন, সেখানে আমি-আপনি কীভাবে ভাবতে পারি যে আমাদের চারপাশে বিশ্বাসঘাতক, মুনাফিক নেই। অবশ্যই আছে। সুযোগ পেলে ঠিকই মুনাফিকরা বেরিয়ে আসে। কারবালার এই শিক্ষা আমরা কয়জন উপলব্ধি করি!
লেখা: মুহাম্মাদ আইনান ইকবাল
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment