লয় বা লাইট অব ইয়াসরব কী?

Image
আস্সালামু আলাইকুম, Light of Yasrab , যাকে সংক্ষেপে বলা হয় LoY , একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম। লয় সবসময় অসহায় ও দরিদ্র মানুষের জন্য কাজ করে। এছাড়া লয়ের আছে অনলাইন ব্লাড ব্যাংক যার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত স্বেচ্ছায় রক্তদান করছেন লাইট অব ইয়াসরব-লয়ের ভাইয়েরা। তাছাড়া রয়েছে লয়ের নিজস্ব ট্যুর গ্রুপ এবং  ইন-শা-আল্লাহ দ্রুতই চালু হচ্ছে    লয় এডুকেশন সেন্টার । LoY-এর মূল স্লোগান: “পীড়িতকে সাহায্য করি, দরিদ্রকে আশ্রয় দিই, অসহায়কে সহায়তা করি।” এখন পর্যন্ত লয় যেসব মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সেগুলো সংক্ষেপে আপনাদের সামনে তোলে ধরা হলো- ভিন্নধর্মী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। লয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে অসাধারণ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির। এই কর্মসূচির সবচেয়ে চমৎকার দিক হলো এখানে লয় পরিবারের সদস্যরা নিজেরাই চারগুলো রোপণে শ্রম দিয়েছেন। আমরা মসজিদ, কবরস্থানসহ বেশকিছু স্থানে বিভিন্ন জাতের চারা নিজেরা রোপণ করেছি। ইয়াতিমখানায় স্পেশাল খাবারের আয়োজন। লয়ের পক্ষ থেকে ইয়াতিম, অসহায় শিশুদের জন্য ভালো খাবারের আয়োজন করা হয়। লয় দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রজ...

শায়খ আকরাম নাদভির সংক্ষিপ্ত জীবনী

মুহাম্মাদ আইনান ইকবাল 

আধুনিক যুগের ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে ডাঃ জাকির নায়েক স্যার (হাফিঃ), ড. আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপ্স (হাফিঃ), নোমান আলী খান (হাফিঃ) প্রমুখকে আমরা মোটামুটি সবাই চিনি। কিন্তু আরও অনেক আধুনিক স্কলার রয়েছেন যারা সেভাবে পরিচিত নন; মানে সাধারণ মানুষ তাদের সম্পর্কে কম জানেন। তেমনই একজন প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার শায়খ মুহাম্মাদ আকরাম নাদভি (হাফিঃ)। চলুন আজ সংক্ষেপে তার সম্পর্কে জেনে আসি।

শায়খ মুহাম্মাদ আকরাম নাদভি ভারতের জৈনপুরে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি একজন প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার, ক্যামব্রিজ ইসলামিক কলেজের ডিন, আল-সালাম ইন্সটিটিউটের প্রিন্সিপাল এবং মার্কফিল্ড ইন্সটিটিউট অব হায়ার এডুকেশনের অনারারি ভিজিটিং ফেলো। এছাড়া তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অক্সফোর্ড সেন্টার ফর ইসলামিক স্টাডিজের রিসার্চ ফেলো ছিলেন ১৯৮৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত। তাছাড়া তিনি আরেক বিখ্যাত স্কলার নোমান আলী খানের শিক্ষক।

শিক্ষাজীবন- শায়খ আকরাম নাদভি ইসলামি জ্ঞানার্জন শুরু করেন মাদ্রাসাহ আল-ইসলাহ থেকে, এই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মাওলানা হামিদুদ্দিন আল-ফারাহি। এখানের শিক্ষা সমাপ্ত করে ভারতের বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নাদওয়াতুল উলামাতে চলে আসেন, এবং এখান থেকে বিএ আলিমিয়্যাহ ডিগ্রি এবং হাদিসশাস্ত্রে এমএ (ফার্স্ট ক্লাস) সমাপ্ত করেন। তিনি সরাসরি শায়খ আবুল হাসান আলী নাদভি পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি লাখনৌ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বিএ এবং আরবি সাহিত্যে পিএইচডি লাভ করেন।

রচনা- শায়খ আকরাম নাদভি আরবি ভাষায় ২৫ টির বেশি গ্রন্থ রচনা করেন, হাদিস, ফিকহ, জীবনী এবং আরবি ব্যাকরণ বিষয়ক। অতি সম্প্রতি তিনি ৫৩ খণ্ডের এক বিশাল জীবন-অভিধান রচনা করেন, ইসলামের ইতিহাসের মুহাদ্দিসা অর্থাৎ হাদিসশাস্ত্রের নারী বিশেষজ্ঞদের ওপর। 'আল-ওয়াফা বি আসমায়িন-নিসা' নামক তার রচিত এই চরিত-কোষ খুবই আলোচিত। এটি রচনার পেছনের ইতিহাসও অনেক সুন্দর। ইন-শা-আল্লাহ অন্য একদিন বিস্তারিত আলোচনা করব। এখানে ৮০০০ বা ৯০০০ হাজার নারী পণ্ডিতের জীবনী স্থান পেয়েছে, এই কাজে তিনি ১৫ বছর ব্যয় করেছেন। এছাড়াও তার রচিত অন্যান্য গ্রন্থাবলীর মধ্যে রয়েছে শায়খ আবুল হাসান আলী নাদভি: জীবন ও কর্ম (নাদভি ফাউন্ডেশন, ২০১৩), আল-মুহাদ্দিসাহ : ইসলামের নারী বিদ্বানগণ (অক্সফোর্ড: ইন্টারফেস পাবলিকেশন্স, ২০০৭), আবু হানিফাহ রহঃ জীবন ও কর্ম, আল ফিকহ আল-ইসলামী: হানাফী মাযহাব অনুসারে (লন্ডন, ২০০৭), মাদ্রাসা-জীবন (লন্ডন, ২০০৭) নাদওয়াতুল উলামাতে অধ্যয়নকালীন সময়ের স্মৃতিচারণ, মুহাদ্দিসদের বাগান (লন্ডন, ২০০৭) শাহ আব্দুল আজিজ দেহলবী রহঃ রচিত গ্রন্থের অনুবাদ।



লেখক: ব্লগার, কবি ও ডিজিটাল কনটেন্ট ক্রিয়েটর। প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, লাইট অব ইয়াসরব-লয়। ছাত্র, আইন বিভাগ, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।

Comments

Popular posts from this blog

সংস্কার নয়, প্রয়োজন নতুন সংবিধান প্রণয়ন: জনকল্যাণ, সুশাসন ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে একটি নতুন শুরু

ভারতে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়ের কীর্তি দেখে হার্টঅ্যাটাক মা-বাবার

লয় বা লাইট অব ইয়াসরব কী?